দিনের শুরুতে দ্রুতই ফিরেছিলেন জাকির হাসান। তবে এরপরই উইকেটে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের নিয়মিত বোলাররা তাদের তেমন পরীক্ষায় ফেলতেই পারেননি। তাই বল হাতে বোলিংয়ে আসেন অনিয়মিত বোলার রহমত শাহ।

এই লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন জয়। তাতেই দ্বিতীয় উইকেটে ২১২ রানের জুটি ভেঙে গেছে টাইগারদের। বুধবার (১৪ জুন) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

তবে দ্বিতীয় ওভারে এসেই দলীয় ৬ রানেড় মাঠায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। আফগানদের হয়ে অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদের প্রথম বলেই বিদায় নেন ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচে ফেরা জাকির হাসান।

এরপর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান আরেক ওপেনার মাহমুদুল জয়। যার মধ্যে বেশ আগ্রাসী ছিলেন শান্ত। তবে দেখেশুনে নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন জয়। ২৪ ওভারে ১১৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন তারা। শান্ত ৬৪ আর জয় ৩৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগান বোলারদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেন।

ফলে ওয়ানডে স্টাইলে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শান্ত। তবে তাকে অপেক্ষায় রেখে ফিফটি তুলে নেন তরুণ ওপেনার জয়। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল চোটে পড়ার কারণে একাদশে সুযোগ পেয়ে আস্থার প্রতিদান দেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১০২ বলে ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটার। তবে আফগানিস্তানের নিয়মিত বোলারদের সামলে নিয়েও ব্রেকথ্রুটা দিয়ে বসেন লেগ স্পিনার রহমত শাহকে।

রহমতের নিরীহ ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। তাই বলে কাট শট খেলার জন্য ব্যাট চালিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। তবে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেছে স্লিপে থাকা ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। তাতে ভেঙেছে ২১২ রানের জুটি। তবে যেভাবে আউট হয়েছেন মাহমুদুল, তাতে ড্রেসিংরুমে ফিরে বেশ আক্ষেপই করার কথা তার।

সেঞ্চুরির ভালো একটি সুযোগ হারিয়ে এই ব্যাটার থেমেছেন ৭৬ রানে। ইনিংসে তার ছিল ৯টি চারের মার। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩৫ বলে ১২১ রানে ব্যাট করছেন। আর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেছেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক।